#blog-pager{clear:both;margin:30px auto;text-align:center; padding: 7px; } .blog-pager {background: none;} .displaypageNum a,.showpage a,.pagecurrent{font-size: 13px;padding: 5px 12px;margin-right:5px; color: #AD0B00; background-color:#FAB001;} .displaypageNum a:hover,.showpage a:hover, .pagecurrent{background:#DB4920;text-decoration:none;color: #fff;} #blog-pager .pagecurrent{font-weight:bold;color: #fff;background:#DB4920;} .showpageOf{display:none!important} #blog-pager .pages{border:none;}

Thursday, September 24, 2015

গোশতো কমিয়ে খান পেট খারাপ থেকে বাচুন

ঈদ-উল-আযহা; বা কোরবানির ঈদ। এই আনন্দের অন্যতম অনুষঙ্গ খাবার। আর কোরবানির ঈদের অন্যান্য খাবারের সঙ্গে মূল আয়োজন হলো বিভিন্ন রকমের গোশত খাওয়া।  যেমন গরু, খাসি, মহিষ এমনকি উটের গোশত। ঈদ উৎসবে সবারই মনের প্রবল ইচ্ছা বেশি বেশি করে গোশত খাওয়া। দুই-একদিন বেশি খেতে যদিও খুব বাধা নেই তবুও খাওয়া উচিত রয়ে-সয়ে। সমস্যা হলো তাদের যাদের পেটের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা হৃদরোগ কিংবা যার এসব রোগের প্রাথমিক লক্ষণ আছে। ঈদকে উপলক্ষ করে সবার বাসায় নানা ধরনের মুখরোচক খাবারের আয়োজন করা হয়। নিজের বাসায় তো বটেই, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের বাসায় ঘুরে ঘুরে প্রায় সারা দিনই টুকিটাকি, এটা-সেটা খাওয়া হয়। আমাদের একটু নজর দেয়া দরকার আমরা কি খাচ্ছি, কতটুকু খাচ্ছি, বিভিন্ন খাবারের প্রতিক্রিয়া কি তার ওপর। মূল সমস্যাটা নিঃসন্দেহে খাবারের পরিমাণে। অনেকেই একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণ তৈলাক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার খেয়ে হজম করতে পারেন না। এ ছাড়া কোরবানির জন্য গোশতের পরিমাণটা একটু বেশিই খাওয়া হয়। অধিক পরিমাণে গোশত খাওয়ার ফলে পেট ফাঁপে, জ্বালাপোড়া করে, ব্যথা করে, বার বার পায়খানা হয়। পর্যাপ্ত পানি পান না করার দরুন অনেকে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। 
 যদিও সাধারণভাবে কোন নির্দিষ্ট খাবার খেতে কোন মানা নেই, কিন্তু পরিমাণ বজায় রাখা খুবই জরুরী। এ ক্ষেত্রে শুরু থেকেই পরিকল্পনা থাকা দরকার। যেহেতু দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেই সবাই গোশত খাওয়ার জন্য বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েন, তাই সকাল আর দুপুরের খাওয়াটা খুব কম রাখাই ভাল। অন্য বাসায়ও যথাসম্ভব কম খান। ঈদের দিন তৈলাক্ত খাবার পোলাও, বিরিয়ানি ও আমিষজাতীয় খাবার, যেমন মুরগি, খাসি বা গরুর মাংস, কাবাব, রেজালা খাওয়া হয়। এ ছাড়া আছে চটপটি, দইবড়া কিংবা বুরহানির মতো টক খাবারও। এই জাতীয় খাদ্য সকাল আর দুপুরে পরিহার করাই উত্তম। কারণ বিকেলে প্রচুর পরিমাণে গোশত খাওয়ার সম্ভাবনা থাকবেই। 

করোনারি হৃদরোগ, বিশেষ করে প্রবীণ ব্যক্তি, যাদের ইসকেমিক হৃদরোগ আছে এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, তারা তৈলাক্ত মাংস কমিয়ে খাবেন। সারা বছর তাঁরা যে ধরনের নিয়মকানুন পালন করেন খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে-কোরবানির সময়ও এর ব্যতিক্রম না করাই ভালো। কোরবানির মাংস এক দিন বা দুই দিন খেলে যে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাবে তা নয়, তবে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে যাঁরা রয়েছেন, বিশেষ করে করোনারি হৃদরোগী, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস) রোগী, ডিসপেপসিয়ায় আক্রান্ত রোগী- তাঁরা অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ঈদের সময় তাঁদের খাওয়াদাওয়ার পরিকল্পনা করবেন। স্থূলকায় শরীর যাঁদের, তাঁরা অবশ্যই ঈদের সময় খাওয়ার ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক থাকবেন। নিয়মিত ওজন পরীক্ষা করবেন। খেয়াল রাখবেন, শরীরের স্বাভাবিক ওজন বেড়ে যাচ্ছে কি না।

কোরবানির পর স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গোশত সংরক্ষণ করুন। যত দ্রুত সম্ভব বাড়ি এবং এর আশপাশ পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত করে ফেলুন। রাস্তার ওপর এবং যত্রতত্র কোরবানি দিয়ে রক্ত ও আবর্জনা ফেলে রাখবেন না। নির্দিষ্ট স্থানে গর্ত করে আবর্জনা ও রক্ত ফেলা নিশ্চিত করুন। জীবাণুনাশক পাউডার, ডেটল ও গরম পানি ব্যবহার করুন।



No comments:

Post a Comment