নখ ত্বকেরই অংশ, নখ প্রেস্টিন দিয়ে তৈরি। নখ প্রতিদিন তৈরি হয়। প্রতি মাসে ১/৮ ইঞ্চি নখ বড় হয়। পায়ের নখ হাতের নখের তুলনায় ধীরে বড় হয়। নখ সুন্দর রাখার জন্য নখের সঠিক যত্নও প্রয়োজন।
নখের নানারকম অসুখ হতে পারে। নানা অসুখে নখের পরিবর্তন আসতে পারে। শারীরিক নানা রকম অসুখ যেমন ফুসফুস বা হার্টের অসুখ, রক্তস্বল্পতা ইত্যাদি নানা কারণে নখের পরিবর্তন হয়।
নখের সাদা দাগঃ
কোনো রকম
ফাঙ্গাসের আক্রমণে নখে সাদা দাগ হতে পারে। এ ছাড়া নখের পাশের ত্বকে কোনো আক্রমণের কারণে নখে সাদা দাগ হতে পারে। মাস খানেকের মাঝে সাদা দাগ আপনা আপনি চলে না গেলে ত্বক বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।
নখের ভেফু যাওয়াঃ
শারীরিক অসুখ এবং অনেক বাহ্যিক কারণে নখ ভেঙে যেতে পারে। খুব বেশি সাবান ব্যবহার, নেল পলিশ ব্যবহার ইত্যাদি কারণে নখ ভাঙতে পারে।
ভেঙে যাওয়া নখের যত্নঃ
অতিরিক্ত সাবান, নেলপলিশ, ব্যবহার করবেন না।
সাবান ব্যবহারের করে কোল্ড ক্রিম ব্যবহার করবেন।
ল্যাকটিক এসিড ও ইউরিয়াযুক্ত ক্রিম প্রতি রাতে ব্যবহার করবেন।
১৫ দিন অন্তর হালকা গরম অলিভ তেলে ১৫ মিনিট আঙুল ডুবিয়ে রাখুন। এ ছাড়া প্রতি রাতে হাতের নখে ও আঙুলে অলিভ তেল মালিশ করম্নন।
নেল পলিশ এবং রিমুভার ব্যবহারের পরে আঙুল ও নখে অলিভ তেল লাগাবেন।
প্রচুর প্রোটিনযুক্ত খাবার খাবেন, প্রতিদিন দুধ বা দই খাবেন।
ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খাবেন।
পায়ের নখ ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়াঃ
এটা খুব সাধারণ সমস্যা। নখ বড় হওয়ার সময় ভেতরের দিকে ঢুকে গেলে এমন হয়। এতে করে ওই জায়গা ফুলে যায়। লাল হয়ে মরেও প্রচণ্ড ব্যথা হয়। ইনফেকশনের কারণে এমন হয়। প্রতিকার ও প্রতিরোধঃ নখ কাটার সময় লক্ষ্য করে দু্ই পাশের নখ কাটবেন।
যথাযথ জুতা পরবেন।
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ক্রিম বা অয়েন্টমেন্ট নখের কোণে লাগাবেন।
নখের কোণ যদি ব্যথা করে বা ফুলে যায় তবে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।
No comments:
Post a Comment