কেমন আছেন সবাই, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভালই আছেন আশা রাখছি।
মুদ্রা দোষ! দুনিয়ায় এমন খুব কম মানুষ আছে যার একটা না একটা মুদ্রা দোষ নাই। মুদ্রা দোষ আসলে বড় কোন দোষ না। এইটা মানুষের এমন একটি অভ্যাস যা মানুষ নিজের অজান্তেই করে থাকেন। অনেক সময় এই দোষ অনেকের পছন্দের কারণ হয়। আবার অনেক সময় মারাত্মক অপছন্দের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
কারো মুদ্রা দোষ প্রকাশ পায় কথায় কথায়। কারো মুদ্রা দোষ প্রকাশ পায় কাজে কর্মে। ব্যাক্তিগত ভাবে আমার নিজের একটা মুদ্রা দোষ আছে। সেটা হল কথার মুদ্রাদোষ। আমি কথায় কথায় বলে থাকি "কোন সমস্যা নাই" এইটা আমার একটা বাজে মুদ্রা দোষ।
আমি একজনকে চিনি যার কথায় কথায় "এই আর কি" এই আর কি বলার মুদ্রা দোষ রয়েছে। আবার কিছু মানুষ আছে যারা ইয়ে মানে ইয়ে মানে না করলে যেন তার কথা আধুরা রয়ে যায়।
এক বন্ধুর কথা না বললেই নয়। যার প্রধান কাজ হচ্ছে একটা ম্যাচের কাঠি নিয়ে নিজের নাকের ভেতরের এমন অংশে গুতো মারা যাতে করে তার হাচি আসে। এইটা সে সারাদিন করতেই থাকে। এই কাজ না করলে তার যেমন চলেই না। অন্যদিকে অন্যান্য লোকজন এতে মারাত্মক রকমের বিরক্ত বোধ করে থাকেন।
আবার কিছু মানুষ আছেন যারা বেহুদায় হাসবে। কোন কারণ ছাড়াই হাসবে। আজব কিসিমের মুদ্রা দোষ এটি। তারা কোন পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে না। তাদের কাছে হাসা টাই মুখ্য।
এই মুদ্রাদোষ যাদের আছে, তাঁরা কথায় কথায় নিজের প্রতিভা জাহির করেন। কখন কোথায় কী বলছেন কোন খেয়াল থাকে না। আর কাল্পনিক মুদ্রাদোষের মতো বাচনিক মুদ্রাদোষও ভয়াবহ। কেউ কেউ আছেন হঠাৎ হঠাৎ ক্ষেপে যান, এটাও কী এক ধরণের মুদ্রাদোষ। কেউ কেউ সময় অসময় নেই অন্যের ত্রুটি খুঁজে বেড়াতে পছন্দ করেন এটাও কী মুদ্রাদোষ? আবার অনেকেই মামলার ভয় দেখিয়ে বেড়াতে বেশ পছন্দ করেন, এটাকেও কি মুদ্রাদোষের পর্যায়ে ফেলা যায়? মনোবিজ্ঞানীরা ভালো বলতে পারবেন। বিশ্লেষণে আরও দড় হবেন তাঁরা। তবে মোদ্দাকথা দাঁড়াচ্ছে এই যে, মুদ্রাদোষ জিনিসটা খুব মারাত্মক। এক ভদ্রলোকের মুুদ্রাদোষ ছিল। কথায় কথায় তিনি 'তোমার' শব্দটি যোগ করে দিতেন। গেছেন এ বন্ধুকে দাওয়াত করতে। খাবারের মেন্যু কী হবে সেটা বলছিলেন তিনি বন্ধুকে। কেমন করে বললেন, সেটা জানা যাক। বললেন, 'কাল আমার বাড়িতে তোমার দাওয়াত। আসবেই কিন্তু, না এলে ভাই তোমার বিচার হবে। তোমার কব্জি ডুবিয়ে বন্ধুরা খাওয়া-দাওয়া করবো। ধরো তোমার খাসির মাংস ভুনা হবে। তোমার বেগুন ভাজা হবে। তোমার রুই মাছের দোপেঁয়াজি হবে। আর তোমার মাথা দিয়ে হবে মুড়োঘন্ট!'
এক বন্ধুর কথা না বললেই নয়। যার প্রধান কাজ হচ্ছে একটা ম্যাচের কাঠি নিয়ে নিজের নাকের ভেতরের এমন অংশে গুতো মারা যাতে করে তার হাচি আসে। এইটা সে সারাদিন করতেই থাকে। এই কাজ না করলে তার যেমন চলেই না। অন্যদিকে অন্যান্য লোকজন এতে মারাত্মক রকমের বিরক্ত বোধ করে থাকেন।
আবার কিছু মানুষ আছেন যারা বেহুদায় হাসবে। কোন কারণ ছাড়াই হাসবে। আজব কিসিমের মুদ্রা দোষ এটি। তারা কোন পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে না। তাদের কাছে হাসা টাই মুখ্য।
এই মুদ্রাদোষ যাদের আছে, তাঁরা কথায় কথায় নিজের প্রতিভা জাহির করেন। কখন কোথায় কী বলছেন কোন খেয়াল থাকে না। আর কাল্পনিক মুদ্রাদোষের মতো বাচনিক মুদ্রাদোষও ভয়াবহ। কেউ কেউ আছেন হঠাৎ হঠাৎ ক্ষেপে যান, এটাও কী এক ধরণের মুদ্রাদোষ। কেউ কেউ সময় অসময় নেই অন্যের ত্রুটি খুঁজে বেড়াতে পছন্দ করেন এটাও কী মুদ্রাদোষ? আবার অনেকেই মামলার ভয় দেখিয়ে বেড়াতে বেশ পছন্দ করেন, এটাকেও কি মুদ্রাদোষের পর্যায়ে ফেলা যায়? মনোবিজ্ঞানীরা ভালো বলতে পারবেন। বিশ্লেষণে আরও দড় হবেন তাঁরা। তবে মোদ্দাকথা দাঁড়াচ্ছে এই যে, মুদ্রাদোষ জিনিসটা খুব মারাত্মক। এক ভদ্রলোকের মুুদ্রাদোষ ছিল। কথায় কথায় তিনি 'তোমার' শব্দটি যোগ করে দিতেন। গেছেন এ বন্ধুকে দাওয়াত করতে। খাবারের মেন্যু কী হবে সেটা বলছিলেন তিনি বন্ধুকে। কেমন করে বললেন, সেটা জানা যাক। বললেন, 'কাল আমার বাড়িতে তোমার দাওয়াত। আসবেই কিন্তু, না এলে ভাই তোমার বিচার হবে। তোমার কব্জি ডুবিয়ে বন্ধুরা খাওয়া-দাওয়া করবো। ধরো তোমার খাসির মাংস ভুনা হবে। তোমার বেগুন ভাজা হবে। তোমার রুই মাছের দোপেঁয়াজি হবে। আর তোমার মাথা দিয়ে হবে মুড়োঘন্ট!'
No comments:
Post a Comment