আসসালামু আলাইকুম, সবাই কেমন আছেন। আশা করি সকলেই সুস্থ্য আছেন ভাল আছেন।
অনেক আগের কিছু কথা মনে পরে যায় যখন আকাআকি করতে বসি। আমার ছবি আকার একটা ব্যাপার ছিল একদম ছোট বেলা থেকেই। আমি নব কিশলয় উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির আগে লেখা বা অক্ষর চেনার জন্য প্রশিকা থেকে যে স্কুল এসেছিল তাতে পড়াশোনা করেছি। আমার ক্লাশ হত চনপাড়া ৬নং ওয়ার্ডের এক সময় আমার স্কুল ফ্রেন্ড মুন্নিদের বাসায়। সহজেই চিনবেন অনেকে জামাল, কামাল ও রাসেল (বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশে আছে) তাদের বাসায়। তখন আমার শিক্ষিকা ছিলেন খালেদা আপা। অসাধারণ মানুষ একজন। আমার খুব ক্লোজ বন্ধু ছিল আনোয়ার নামের একজন। ওদের বাসা বাজারের খড়ির দোকান গুলির ঐ দিকে। ছেলেটা অসাধারণ ছবি আঁকত ঐ সময়। আমিও আকতাম তবে ওর মত না। একদিন স্কুল থেকে আর্ট প্রতিযোগিতার জন্য ওকে নিয়ে যাওয়া হল বাংলাদেশ শিশু একাডেমীতে। আমি খুব উৎসাহ দিলাম। ও বলেছিল যদি ফার্স্ট হয় তাহলে পুরস্কার যা পাবে তার অর্ধেক আমাকে দিবে। আমি তাতে বেশ খুশিই হয়েছিলাম। প্রতিযোগিতার পরের দিন খুব সকালে ও আমাদের বাসায় এসে আমাকে ডেকে নিয়ে গেল অফিস ঘাটে। নদীর পারে এবং আমার হাতে একটা ৫০ টাকার প্রাইজ মানি দিয়ে বলল দোস্ত আমি ঐ প্রতিযোগিতায় ছবি একে ফার্স্ট হয়েছি। ২টা প্রাইজ মানি দিয়েছিল ৫০+৫০ টাকা সমমূল্যের। একটা তোকে দিলাম। আমি তো এতো খুশি হয়েছিলাম যা বলার মত না। তখন ও বলেছিল তুইও আকাআকি করতে থাক একদিন তুই ও ভাল কিছু করতে পারবি। তখন থেকে শুরু করেছি আকাআকি ব্যাপক ভাবে। এরপর অনেক দিন কেটে গেছে। ঐ স্কুল ছেড়ে নব কিশলয় স্কুলে ক্লাশ থ্রি পর্যন্ত পড়ে সপরিবারে আমরা মিরপুরে চলে গেলাম। এই খানে শুরু হল আমার টারনিং পয়েন্ট। একটা লোক হয়তো জানে না যে তাকে আমি ফলো করি সব সময়। তার নাম রাজিব আশরাফ মিরপুরের ১১ নং এ আমরা থাকতাম। সেই এলাকায় তিনি নিয়মিত আড্ডা দিতেন এবং তাদের বাসা ছিল সাংবাদিক আবাসিক এলাকায়। তিনি তো আমার চোখে আইডল। যা হোক তখন থেকেই নানা রকম টুকটাক আকাআকি করতাম। আরেকজন ছিল রাকেশ ভাই তাকেও আমি বেশ ফলো করতাম তার ক্রিয়েটিভ কাজ কর্মতে।
এভাবেই দিন গুলি ভাল কাটছিল। আকাআকি বাদেও আমার বিজ্ঞানের প্রতি মারাত্মক রকমের দুর্বলতা ছিল। সেক্ষেত্রে আমার অন্যতম উৎসাহ দাতা ছিল আমার মিরপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রানপ্রিয় শিক্ষক জনাব মিঠুন মন্ডল স্যার। ওনার উৎসাহ এবং দিক নির্দেশনায় আমি অনেক বৈজ্ঞানিক বিষয় নিয়ে রিসার্চ করেছিলাম। যদিও সাকসেসফুল হইতে পারি নাই একটায়ও।
এরপর তো কেটে গেল অনেক বছর। ইচ্ছা ছিল চারুকলায় পড়বো। সেটাও হল না। পড়লাম ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ। তারপর বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং করলাম বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি থেকে।
যাই হই না কেন। আকাআকি কিন্তু ছেড়ে দেই নি। আঁকছি। আঁকবো। কেননা আর কেউ দেখুক না দেখুক আমার জীবনের অর্ধেক সাবিনা (বিনি) তো আছেই। সেই বর্তমানে আমার অন্যতম উৎসাহ দাতা এবং আমার সব ছবির অন্যতম দর্শনার্থী। আর মুহাম্মার আয়ান সামির কথা আসবে আরো কিছু বাদে। আর ছবি আকা আমার রক্তের সাথে মিশে গেছে। ছাড়তে পারবো না। জানি ভাল আকি না। তারপরও চেষ্টার কোন কমতি রাখি না আকার সময়। আমার পূর্ণ মন থাকবে সব সময় আকাআকিতে।
এত্তো গুলি বকবক করলাম নিজের সম্পর্কে কেউ কিন্তু মাইন্ড খায়েন না। ভুল ভ্রান্তি হতে পারে আমার ক্ষমা সুলভ দৃষ্টিতে দেইখেন।
আর লিখি এবং লিখে যাবো। আশা করি আপনাদেরকে পাশেই পাবো।
ধন্যবাদ।
অসাধারণ আট করেন, আর বেশি বেশি আট করবেন আশা করি ভাল লাগে আটগুলো।
ReplyDeleteThanks
Delete