#blog-pager{clear:both;margin:30px auto;text-align:center; padding: 7px; } .blog-pager {background: none;} .displaypageNum a,.showpage a,.pagecurrent{font-size: 13px;padding: 5px 12px;margin-right:5px; color: #AD0B00; background-color:#FAB001;} .displaypageNum a:hover,.showpage a:hover, .pagecurrent{background:#DB4920;text-decoration:none;color: #fff;} #blog-pager .pagecurrent{font-weight:bold;color: #fff;background:#DB4920;} .showpageOf{display:none!important} #blog-pager .pages{border:none;}

Monday, August 31, 2015

ব্রন ও ব্রনের কালো দাগ থেকে মুক্তির কিছু উপায়(১-২ মাসের মধ্যে)




খাদ্য হিসেবে ও চিকিত্‍সার কাজে গাছের বিভিন্ন অংশ এবং ভেষজের ব্যবহার মানুষ করে আসছে সেই সুপ্রাচীনকাল থেকেই। প্রাচীন চিকিত্‍সাশাস্ত্র আয়ুর্বেদ পুরোটাই গাছ-গাছড়া নির্ভর। প্রাচীন চীনের চিকিত্‍সাশাস্ত্রেও ছিল ভেষজের ব্যবহার। মধ্যপ্রাচ্যে বিশেষ করে যাযাবর শ্রেণীর লোকেরা টোটকা চিকিত্‍সাতে নানা ধরনের শেকড়-বাকড় ব্যবহার করত। শুধু কি খাবার আর চিকিত্‍সা! রূপচর্চার ক্ষেত্রেও রয়েছে ভেষজ উপাদানের অবদান। নিজেকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তুলতে সুদূর অতীত থেকে আজ পর্যন্ত ভেষজ উপাদানের ব্যবহার সমানভাবে চলে আসছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া একেবারে নেই বললেই চলে বলে রূপচর্চার ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদ বা ভেষজের ব্যবহারে মানুষ দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছে।
ত্বকের মরা কোষ, ময়লা,দূষণ এবং শারীরিক নানা সমস্যার কারণে আমাদের ত্বক বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধুলা ময়লা ত্বকে জমে রোমকূপ বন্ধ করে ফেলে। ফলে সৃষ্টি হয় ব্রণের। বিশেষ করে ত্বকে তেলের পরিমাণ বেশি থাকলে তা সহজেই ময়লা আকর্ষণ করে। তাই তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের সংক্রমণ বেশি হয়। অনেকেই নোংরা হাতে ব্রণ খুঁটে থাকেন। এটা একেবারেই উচিত নয়, এতে ত্বকে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি হয় এবং দাগ পড়ে যায়। ত্বকের সামান্য যত্ন নিলেই ব্রণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। রইল ব্রণের হাত থেকে নিস্তার পাবার কিছু ভেষজ উপায় -

১) ব্রণ হবার একটি অন্যতম কারণ হলো অপরিষ্কার ত্বক। তাই ত্বক রাখতে হবে পরিষ্কার। নিয়মিত স্ক্রাবিং ত্বককে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। ব্রণ শুধু মুখে নয়, শরীরের অন্যান্য অংশেও হতে পারে। তাই স্ক্রাবিং পুরো দেহের জন্যই প্রযোজ্য। পাকা পেঁপে চটকে নিন এক কাপ। এর সাথে মেশা এক টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস এবং প্রয়োজন অনুযায়ী চালের গুঁড়ো। মিশ্রণটি মুখসহ পুরো শরীরে লাগান। ২০-২৫ মিনিট মাসাজ করে গোসল করে ফেলুন। পেঁপে ছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন ঘৃতকুমারীর রস।

২)পুদিনা পাতা ত্বকের অতিরিক্ত তেল এবং ব্রণের সংক্রমণ কমাতে খুবই উপকারী। টাটকা পুদিনা পাতা বেটে ত্বকে লাগান। ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর হয়ে যাবে। অতিরিক্ত গরমের কারণে ত্বকে যেসব ফুসকুড়ি এবং ব্রণ হয় সেগুলো দূর করতেও পুদিনা পাতা উপকারী। টাটকা পুদিনা পাতা বেটে ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট এরপর ধুয়ে ফেলুন।
৩)পুদিনা পাতার রস করে নিয়ে সেটা দিয়ে আইস কিউব তৈরি করুন। ফুসকুড়ি ও ব্রণের এই আইস কিউব ঘষুন ১০-১৫ মিনিট। এতে ফুসকুড়ি ও ব্রণের সংক্রমণ তো কমবেই সাথে ত্বকের জ্বালাপোড়াও দূর করবে।
৪) লবঙ্গ মূলত মসলা হিসেবে পরিচিত হলেও ব্রণ সারাতে তা খুবই কার্যকর। লবঙ্গের তেল দিয়ে ত্বক মাসাজ করা খুবই উপকারী। ত্বকে ব্রণের সংক্রমণ বেড়ে গেলে লবঙ্গ গুঁড়ো করে তাতে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। ব্রণের জায়গাগুলোতে মিশ্রণের মোটা প্রলেপ দিন। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
৫) টক স্বাদের কদবেল খেতে অনেকেই ভালবাসেন। কাঁচা কদবেলের রস ব্রণের জন্য খুবই উপকারী। কাঁচা কদবেলের রস তুলাতে ভিজিয়ে ব্রণ আক্রান্ত জায়গাগুলোতে লাগান। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

৬) নিমপাতা খুব ভালো জীবাণুনাশক। তাই ব্রণ সারাতে নিমপাতা খুবই উপকারী। নিমপাতা বেটে সাথে চন্দনের গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ত্বকে লাগিয়ে ১৫-২০ পর ধুয়ে ফেলুন।
৭) যাঁদের ব্রণের পরিমাণ অত্যধিক বেশি তাঁরা পাতিলেবুর রস দিনে দুই তিনবার ব্রণে আক্রান্ত জায়গাগুলোতে লাগান। তবে একটানা ১০ মিনিটের বেশি রাখবেন না। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
৮)ধনিয়াপাতাও ব্রণ সারাতে কার্যকর। ধনিয়াপাতা বেটে তাতে কয়েক চিমটি হলুদ গুঁড়া মেশান। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে ২০-২৫ পর ধুয়ে ফেলুন।
৯) ১ লিটার পানিতে ২৫০ গ্রাম টাটকা নিমপাতা জ্বাল দিন। পানির পরিমাণ অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকুন। এই পানি ছেঁকে ঠান্ডা করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই পানি পান করলে ব্রণ হবার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যাবে।
১০)গোলাপজলের নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ কমে যায়। দারুচিনি গুঁড়ার সাথে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ব্রণের ওপর লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের সংক্রমণ, চুলকানি এবং ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।
এছাড়া :

ব্রণ সমস্যা চিরতরে দূর করবে যে ৬টি খাবার : ব্রণের সমস্যায় ভোগেননি বা ভুগছেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ছেলে মেয়ে উভয়েই ব্রণের সমস্যায় পড়তে পারেন যে কোনো কারণে। ব্রন যে কোনো ধরণের ত্বকেই হতে পারে। এই ব্রণের সমস্যা দূর করার জন্য কত কিছুই না করেন সবাই। কিন্তু কতোটুকু কার্যকর হয় এত কিছু করা? কত ধরণের ক্রিম বা চিকিৎসা নেয়া হয়, কত রূপচর্চা আর পার্লারে দৌড়া দৌড়িও হয়। কিন্তু আসলেই কি এই নাছোড়বান্দা ব্রণের পিছু ছাড়ানো যায়?
আচ্ছা, যদি ব্রণের সমস্যাকে নির্মূল করা যায় দেহের ভেতর থেকে, তাহলে কেমন হয়? খুব সহজেই দূর হবে ব্রণের উপদ্রব কিছু খাবারের মাধ্যমে। হ্যাঁ, প্রকৃতি তার অনেক কিছুর মাঝেই অনেক সমস্যার সমাধান রেখে দিয়েছে। দরকার শুধু এগুলোকে খুঁজে বের করা ও কাজে লাগানো।
আজ আপনাদের জন্য রইল ব্রণের সমস্যাকে চিরবিদায় জানানোর জন্য যে খাবারগুলো সাহায্য করবে তার একটি তালিকা। মৌসুম অনুযায়ী প্রতিদিন খাবার তালিকায় এই খাবারগুলো থেকে ব্রন সমস্যার সমাধান করুন সহজেই।

 শসা 
শসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, ই, পানি এবং অ্যামিনো অ্যাসিড। যা ত্বকে ব্রণের ব্যাকটেরিয়ার জন্ম প্রতিরোধ করে ব্রণের সমস্যার সমাধানে সহায়তা করে। শসার জুস করেও খেতে পারেন। এতে ত্বকে ব্রণের সমস্যা দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করবে।
তাজা সবুজ শাক
হজম ক্রিয়ায় সমস্যা বা বদহজম হলে ব্রণের উপদ্রব বাড়ে। তাই আমাদের খেতে হবে হজমে সাহায্যকারী সবুজ শাক যেমন, লেটুস, পালংশাক, বাঁধাকপি, ডাটা শাক ইত্যাদি। এই সবুজ শাক হজমের ক্রিয়ায় সাহায্য করে এবং ব্রণের সমস্যার সমাধান করে।
কাঁচা রসুন
গন্ধের জন্য কাঁচা রসুন কেউ খেতে চান না। কিন্তু কাঁচা রসুনে যে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে তা রক্ত শোধনে কাজ করে ও দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করে। ফলে ব্রণের আক্রমণ থেকে রক্ষা পায় ত্বক। দিনে অন্তত ১ কোয়া কাঁচা রসুন খাবার অভ্যাস করুন।
টমেটো
টমেটোতে বিদ্যমান প্রচুর পরিমাণে সি যা ব্রণের সমস্যার সমাধানে কাজ করে। এছাড়াও টমেটোর বায়োফ্লেভানয়েডস ক্ষতিগ্রস্থ ত্বকের কোষ সুস্থ করে। এতে করে ত্বকে ব্রণের জন্য সৃষ্ট ক্ষতের দাগ দূর করতেও সাহায্য করে। 
গ্রিন টী
/ কফি আমরা প্রতিদিনই পান করি একটি রিফ্রেসিং এবং এনার্জি ড্রিংক হিসেবে। কিন্তু ব্রণ দূর করতে চাইলে প্রতিদিন চা/ কফি পান করার অভ্যাস বদলে গ্রিন টী পান করার অভ্যাস করুন। গ্রিন টী দেহের টক্সিক পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এবং ব্রণ হওয়ার জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সহায়তা করে।
অলিভ অয়েল
খাবারে আমরা বেশিরভাগ সময়ই সয়াবিন তেল ব্যাবহার করি। মাঝে মাঝে সরিষার তেল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সয়াবিন ও সরিষার তেল ব্রণ হওয়ার জন্য দায়ী। আজ থেকে যতটা সম্ভব সয়াবিন ও সরিষার তেল এড়িয়ে চলুন। খাবারে ব্যবহার করুন অলিভ অয়েল। অলিভ অয়েল দেহে খুব সহজে হজম হয় এবং ইমিউন সিস্টেম উন্নত করতে সাহায্য করে। এর সাথে সাথেই ব্রণের সমস্যারও সমাধান করে অলিভ অয়েল।

ব্রণ দূর করতে চারটি দারুণ কার্যকরী ফেসপ্যাক : সত্যি বলতে কি, ব্রণের চিকিৎসায় কেনা কসমেটিক উপাদান ব্যবহার না করাই ভালো। যতটা সম্ভব রাসায়নিক উপাদান এড়িয়ে গিয়ে প্রাকৃতিক উপাদানের নিয়মিত ব্যবহারেই ব্রণহীন সুন্দর ত্বক পাওয়া সম্ভব। ভালো খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন, পর্যাপ্ত ঘুমান, দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকুন এবং ত্বক অবশ্যই খুব পরিষ্কার রাখুন। দিনে দুবার ফেসওয়াশ ব্যবহার করে মুখ ধোবেন। এছাড়াও শুধু পানি দিয়ে ৩ থেকে ৪ বার মুখ অবশ্যই ধুয়ে নেবেন। এর পাশাপাশি, ব্রণ নিরাময় করতে ব্যবহার করতে পারেন কিছু কার্যকরী ফেসপ্যাক।
কমলার খোসা কমাবে ব্রণ
কমলা লেবুর খোসা শুকিয়ে মিহি গুঁড়ো করে নিন। চন্দন পাউডার, মুলতানি মাটি, কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো মিশিয়ে ভালো করে মিলিয়ে নিন। এই মিশ্রণের মধ্যে দুই চামচ দুধও মিশিয়ে নিতে পারেন। মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রাখার পর ধুয়ে নিন। এই প্যাকটা নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে, ব্রণের উপদ্রব কমবে, ব্রণের দাগও দূর হয়ে যাবে।
নিম ঠেকায় ব্রণ
চার/পাঁচটা নিম পাতা ভালো করে ধুয়ে পিষে নিন। এর মধ্যে এক চামচ মুলতানি মাটি, অল্প গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটা যদি গাঢ় হয়ে যায় তাহলে এর মধ্যে গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। মুখে লাগিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিন। প্যাকটা মুখে শুকিয়ে গেলে হালকা পানি দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। মুখে ব্রণ থাকলে দ্রুত সেরে যাবে। ব্রণ অথাও কমাবে।
লবঙ্গ দারুণ ফলদায়ক
লবঙ্গ মূলত মসলা হিসেবে পরিচিত হলেও ব্রণ সারাতে তা খুবই কার্যকর। লবঙ্গের তেল দিয়ে ত্বক মাসাজ করা খুবই উপকারী। ত্বকে ব্রণের সংক্রমণ বেড়ে গেলে লবঙ্গ গুঁড়ো করে তাতে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। ব্রণের জায়গাগুলোতে মিশ্রণের মোটা প্রলেপ দিন। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
আলোভেরা মানিয়ে যায় সব ধরণের ত্বকে
আলোভেরা রস নিন নিন এক কাপ। এর সাথে মেশাণ এক টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস এবং প্রয়োজন অনুযায়ী চালের গুঁড়ো। মিশ্রণটি মুখসহ পুরো শরীরে লাগান। ২০-২৫ মিনিট মাসাজ করে গোসল করে ফেলুন।

ব্রণ নিরসনের ঘরোয়া উপায়আমাদের ত্বকের তৈল গ্রন্থি ব্যাটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে এর আকৃতি বৃদ্ধি পায় তখন এর ভিতরে পুঁজ জমা হতে থাকে, যা ধীরে ধীরে বর্ন পরিবর্তন করে ব্রণের আকার ধারণ করে। এটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বংশগত। ব্রণকে অনেকেই পিম্পল , যিট বা স্পট বলে থাকে।
সাধারণত টিনেজারাই ব্রণের সমস্যায় বেশি ভোগে। বাজারে ব্রণ দূর করার জন্য নানারকম কসমেটিক্স/ঔষধ পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার করারআগে নিচের ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো অনুসরন করতে পারেন।
ঘরোয়া পদ্ধতি্তে ব্রণ এবং ব্রণের দাগ দুর করার কিছু সহজ উপায়ঃ

১। কাঁচা হলুদ এবং চন্দনকাঠের গুঁড়ো ব্রণের জন্য খুবই কার্যকর দুটো উপাদান। সমপরিমাণ বাটা কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের গুঁড়ো একত্রে নিয়ে এতে পরিমাণ মত পানি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করতে হবে।মিশ্রণটি এরপর ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষন পর শুকিয়ে গেলে মুখঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
এই মিশ্রণটি শুধুমাত্র ব্রণদূর করার কাজ করে না বরং ব্রণের দাগ দূর করতেও সাহায্য করে।
২। আপেল এবং মধু এর মিশ্রণ হচ্ছে ব্রণের দাগ দূর করার সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া পদ্ধতি। প্রথমে আপেলের পেষ্ট তৈরি করে তাতে ৪-৬ ফোঁটা মধু মিশাতে হবে। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষন অপেক্ষা করে এরপর মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখে এবং কমপ্লেকশন হালকা করে। সপ্তাহে ৫-৬ বার এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি কয়েকদিনের মধ্যে পরিবর্তনটা অনুভব করতে পারবেন।
৩। ব্রণের জন্য তুলসি পাতার রস খুব উপকারী। কারণ তুলসি পাতায় আছে আয়ূর্বেদিক গুণ। শুধুমাত্র তুলসি পাতার রস ব্রণআক্রান্ত অংশে লাগিয়ে রেখে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর কুসুম গরমপানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

৪। প্রথমে চন্দন কাঠের গুড়োঁর সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। এরপর এতে ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস মিশাণ। গোলাপজল অনেকের ত্বকের সাথে এডজাষ্ট হয় না।তারা সেইক্ষেত্রে গোলাপ জলের পরিবর্তে মধু ব্যবহার করতে পারেন।এই পেষ্ট আপনার ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে।সপ্তাহে ৩-৪দিন ব্যবহার করতে পারলে ভাল ফল পাওয়া যাবে।
৫। এছাড়া রাতে শোয়ার আগে ডিমের সাদা অংশ ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় মেসেজ করে সারারাত রাখতে পারেন।এটি আপনার ত্বকের খসখসে ভাব দূর করে।সবচেয়ে ভাল হয় যদি এর সাথে লেবুর রস যোগ করা যায়।আপনি এটি সারারাতও রাখতে পারেন আবার আধ ঘন্টা পরও ধুয়ে ফেলতে পারেন।
৬। প্রতিদিন ৯-১০ গ্লাস পানি খাবেন।
৭। প্রতিদিন রাতের খাবারের পর যেকোন ধরনের মৌসুমি ফল খান। এটি আপনার ত্বককে সতেজ রাখবে।যতটা সম্ভব তেলযুক্ত বা ফাষ্টফুড জাতীয় খাবার পরিহার করুন।
৮। সবসময় বাহির থেকে আসা মাত্র মুখ ফেসওয়াস দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া হালকা গরম পানির স্টীম নিতে পারেন।এতেকরে ত্বকে জমে থাকা ধুলোবালি পরিষ্কার হয়ে যাবে।
ব্রণের মহোঔষধ “জায়ফল”
জায়ফল– রন্ধন শিল্পে যারা পারদর্শী তাদের কাছে অতিপরিচিত একটি মসলার নাম। খাবারের স্বাদ আর সুগন্ধ বৃদ্ধিতে আর মাংস নরম করতে যার কোন জুড়ি নেই। এবার আসি জায়ফলের একটি যুগান্তকারী গুনের কথায়। সেই গুণটি হলো মুখের ব্রণের চিকিৎসায় এর ব্যবহার।

জায়ফলের মধ্যে “মেইস” নামক একটি উপাদান আছে, যা ফাংগাস এবং ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী। ব্রণের মূল কারণ হলো মুখের ত্বকে ব্যাকটেরিয়া এবং ফাংগাসের আক্রমণ। সুতরাং বুঝতেই পারছেন জায়ফল কিভাবে ব্রণের বিরুদ্ধে কাজ করে।
প্রথমে একটি বাটিতে জায়ফল গুড়া, মধু এবং একটু দুধ নিন।এবার ভালোকরে এগুলো এমনভাবে মেশান যেন তা পেস্টের মতো হয়।এইরকম পেস্ট বানিয়ে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ব্রণে আক্রান্ত জায়গাগুলোতে ভালভাবে লাগান।পরদিন সকালে হালকা ভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন।এভাবে প্রতিদিন ব্যবহারে আপনি নিজেই ফলাফল টের পাবেন। এই পেস্টটিকে আপনি স্পট ক্রিম হিসাবে মুখের দাগ দূর করতেও ব্যবহার করতে পারেন
তবে যারা বহুদিন যাবত ব্রণ সমস্যায় ভুগছেন এবং কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না, তারা আর দেরি না করে কোন অভিজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।
লিখাটা আপনাদের কেমন লাগলো তা জানার অপেক্ষায় রইলাম,আপনাদের মতামত আমাদের কাম্য।ইমেইল করে বা কমেন্টস এ আপনাদের কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে আমাদের জানাতে পারেন। আমরা যতটুকু পারি আপনাদের সাহায্য করার চেষ্টা করব। ভালো থাকুন , সুস্থ থাকুন আর আমাদের সাথেই থাকুন।

No comments:

Post a Comment