সময়টাই এখন দেশি ফলের। রাস্তার পাশে ঝুড়ি নিয়ে বসে, রিক্সাভ্যানে, ফলের দোকানে, বিভিন্ন মেগাশপে জাম্বুরা, আমড়া, পেয়ারা, আমলকি, গাবসহ নানারকম দেশি ফলের ভিড় চোখে পড়ে। শিশু থেকে শুরু করে বুড়োরা সবার একটু বেশিই পছন্দের ফল এ জাম্বুরা। এর একটা কারণ হলো জাম্বুরা খেতে দাঁতের প্রয়োজন হয় না। আর কিশোরীরা লবণ ও গুড়োমরিচ দিয়ে জাম্বুরার ভর্তা বানিয়ে খেতে খুবই পছন্দ করেন। এছাড়া কাঁচামরিচ কুচি, পুদিনা পাতা বা ধনে পাতা কুচি, বিট লবণ এবং সরিষার তেলের মাখানো জাম্বুরা দুপুরে বা রাতে খাওয়ার টেবিলে সালাদ হিসেবে বেশ মজাদার।
জাম্বুরার পুষ্টিগুণ:
প্রতি ১০০ গ্রাম জাম্বুরার মধ্যে রয়েছে ৩৭ কিলো ক্যালোরি, শর্করা ৯.২ গ্রাম, মুক্ত চিনি ৭ গ্রাম, সামান্য খাদ্যআঁশ, প্রোটিন ও চর্বি, ১২০ মা.গ্রা. বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন ৬০ গ্রাম, ভিটামিন 'বি'ও থাকে। ক্যালোরি কম থাকায় ডায়াবেটিস ও স্থূলকায়দের জন্য খুবই উপকারী ফল।
জাম্বুরার উপকারিতা:
- জাম্বুরা এসিডিটি বা গ্যাস প্রতিহত করে বলে পাকস্থলী সুস্থ থাকে।
- জাম্বুরায় ভিটামিন 'সি' আছে বলে রক্তনালির সংকোচন-প্রসারণ ক্ষমতা বাড়ায়।
- ডায়াবেটিস, জ্বর, নিদ্রাহীনতা, মুখের ভেতরে ঘা, পাকস্থলী ও অগ্ন্যাশয়ের বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- জাম্বুরা খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। একই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগের হাত থেকে রক্ষা করে।
- জাম্বুরা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- জাম্বুরায় রক্ত পরিষ্কারের ক্ষমতা থাকায় দেহে কোনো ধরনের বিষাক্ত উপাদান প্রবেশ করলে ধ্বংস করতে পারে।
- প্রতিদিন এক গ্লাস করে জাম্বুরার শরবত খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে।
-বায়োফ্লভনয়েড বেশি থাকায় ব্রেস্ট ক্যান্সারের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। প্রতিদিন এক গ্লাস করে বাতাবি লেবু জুস করে খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে।
সতর্কতা: মনে রাখবেন রাস্তায় নানারকম মসলা মাখিয়ে বিক্রি করা জাম্বরা না খাওয়াই ভালো। আস্ত জাম্বুরা কিনে বাসায় নিয়ে খাওয়াই স্বাস্থ্যসম্মত।
No comments:
Post a Comment