#blog-pager{clear:both;margin:30px auto;text-align:center; padding: 7px; } .blog-pager {background: none;} .displaypageNum a,.showpage a,.pagecurrent{font-size: 13px;padding: 5px 12px;margin-right:5px; color: #AD0B00; background-color:#FAB001;} .displaypageNum a:hover,.showpage a:hover, .pagecurrent{background:#DB4920;text-decoration:none;color: #fff;} #blog-pager .pagecurrent{font-weight:bold;color: #fff;background:#DB4920;} .showpageOf{display:none!important} #blog-pager .pages{border:none;}

Friday, September 25, 2015

আসুন জেনে নেই মেকাপ করার সঠিক নিয়ম। বিস্তারিত পড়ুন ........................।

আসুন জেনে নেই মেকাপ করার সঠিক নিয়ম। মেকাপ করার সঠিক পদ্ধতি জানা না থাকলে পড়তে হবে বিড়ম্বনায়। তাই আজকে দেখুন মেকাপ করার সহজ উপায়। মেয়েদের মেকআপ.









যা যা প্রয়োজন


  • সানস্ক্রিন (Sunscreen)
  • কনসিলার (Concealer)
  • ফাউন্ডেশন (Foundation)
  • আই স্যাডো (Eyeshadow)
  • আই লাইনার (Eyeliner)
  • মাশকারা (Mascara)
  • ব্লাশ (Blush)
  • লিপস্টিক (Lipstick / gloss)

  • যে ভাবে করবেনঃ
 দিন শুরু করুন Sunscreen এর সাথে

প্রথমে আপনার মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এবার মুখ এবং ঘাড়ে ভালো ভাবে sunscreen লাগিয়ে নিন। রোদ-বৃষ্টি যাই হোক প্রতিদিন sunscreen ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তুলুন । যাদের শুষ্ক ত্বক তারা ফাউন্ডেশন ব্যবহার না করে শুধুমাত্র SPF 15 বা তার অধিক Moisturizer ব্যবহার করুন। আর যদি আপনার ত্বক তৈলাক্ত হয় তবে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন এবং মুখ শুকানোর আগে sunscreen ব্যবহার করুন।
 কনসিলার এর ব্যবহার

কনসিলার দিয়ে আপনার মুখের অসম দাগকে মুছে দিতে পারেন। প্রথমে আপনার মুখের কালো বা সবচেয়ে প্রয়োজনীয় (চোখের নিচে, নাকের দুইপাশে, চিবুকের উপর) স্থানে অনামিকা (ring finger) দিয়ে Concealer বিন্দু বিন্দু আকারে প্রয়োগ করুন। তারপর ভালো ভাবে স্কিনের সাথে মিশিয়ে লাগিয়ে দিন। এবার আপনার মুখের অসম দাগ গুল আর দেখতে পাবেন না।
ফাউন্ডেশনের ব্যবহার

ফাউন্ডেশন ব্যবহারের সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে, আপনার মুখের রঙের সাথে সামানজস্য পূর্ন সঠিক ফাউন্ডেশনটি আপনি ব্যবহার করছেন। একবারে আপনার সারা মুখে ফাউন্ডেশন লাগাবেন না। মুখের এক অংশে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে প্রথমে তা মুখের স্কিনের সাথে ভালভাবে মিশিয়ে নিবেন। তারপর অন্য অংশে লাগাবেন। এভাবে সমস্ত মুখে ধীরে ধীরে পর্যায়ক্রমে ফাউন্ডেশন লাগাবেন।
Eyeshadow ব্যবহার

ফাউন্ডেশন লাগানোর পর আপনার মুখ মেক-আপের জন্য সম্পূর্ন ভাবে তৈরি আছে। এখন চোখের মেক-আপ করার সময়। সাধারনত আমরা সবাই ড্রেসের রঙের সাথে রঙ মিলিয়ে Eyeshadow ব্যবহার করে থাকি। তবে যে রঙই আমরা ব্যবহার করি না কেন চোখের কোনে হালকা Eyeshadow ব্যবহার করলে ভাল লাগে, আর চোখের শেষ দিকে ধীরে ধীরে কালো বা গাড়ো রঙ লাগালে সুন্দর লাগে। ব্রাশ দিয়ে Eyeshadow খুব ভাল ভাবে চোখের সাথে মিলিয়ে দিতে হবে।
Eyeliner ব্যবহারঃ

Eyeshadow এর মত আমরা বিভিন্ন ভাবে Eyeliner দিতে পারি। এর সঠিক কনো নিয়ম নেই, যার চোখে যেভাবে ভাল লাগে সে সেভাবেই লাগায়। Eyeliner সাধারনত চোখের উপরের অংশে প্রয়োগ করে। Eyeliner দিয়ে চোখের অনেক ধরণের লুক দিতে পারেন। এদের আবার আছে বাহারী সব নাম। যেমনঃ সাধারন eyeliner, Smokey চোখ, বিড়াল চক্ষু এবং আরো অনেক কিছু।
Mascara ব্যবহার

মাসকারা আপনার চোখের সাজকে আরো পরিপূর্ন করে তোলে। মাসকারা ব্যবহারে আপনার চোখ হয়ে ওঠে আরো বেশি সুন্দর। মাসকারার ব্রাশ ব্যবহার করে অতি সহজে চোখের আইল্যাস গুলো আরো ঘ্ন করতে পারেন।
Blush এর ব্যবহার

যারা একটু বেশি সাজগোজ পছন্দ করে তাদের জন্য ব্লাশ। গালের দুই পাশে নিচ থেকে উপরের দিকে ব্রাশ দিয়ে ব্লাশ দিতে হয়। যাদের রঙ ফর্সা তারা যেকোন রঙের ব্লাশ লাগাতে পারে আর যাদের রঙ একটু কম ফর্সা তারা একটু হালকা রঙ লাগাবেন। তবে রাতের অনুষ্ঠানে সবাই গাঢ় করে লাগাতে পারেন।
lipstick ও gloss এর ব্যবহার

প্রথমে lip liner দিয়ে ঠোঁটের চারপাশে একে নিন। তবে lip liner যেন হালকা রঙের হয়। এরপরে আপনার পছন্দের বা আপনার ড্রেসের সাথে মিলিয়ে লিপস্টিক ব্যবহার করুন। আবার আপনার lip liner এর রংটি যদি বেশি সুন্দর হয়, তবে আপনি চাইলে সমস্ত ঠোঁটে lip liner দিতে পারেন, তারপর উপরে লিপ গ্লস বা লিপ balm লাগাতে পারেন। দিনে হালকা রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করুন আর রাতে একটু গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করুন। আর খেয়াল রাখবেন যেকনো নামের বা মানের লিপস্টিক ব্যবহার করবেন না। লিপস্টিক ব্যবহারের সময় ভাল মানের লিপস্টিক ব্যবহার করবেন, নয়ত আপনার ঠোঁট কালো হয়ে যাবে।

Thursday, September 24, 2015

ঈদ মোবারক


ঈদ মোবারক। সবাইকে হরেক - পণ্য ব্লগের পক্ষ থেকে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

গোশতো কমিয়ে খান পেট খারাপ থেকে বাচুন

ঈদ-উল-আযহা; বা কোরবানির ঈদ। এই আনন্দের অন্যতম অনুষঙ্গ খাবার। আর কোরবানির ঈদের অন্যান্য খাবারের সঙ্গে মূল আয়োজন হলো বিভিন্ন রকমের গোশত খাওয়া।  যেমন গরু, খাসি, মহিষ এমনকি উটের গোশত। ঈদ উৎসবে সবারই মনের প্রবল ইচ্ছা বেশি বেশি করে গোশত খাওয়া। দুই-একদিন বেশি খেতে যদিও খুব বাধা নেই তবুও খাওয়া উচিত রয়ে-সয়ে। সমস্যা হলো তাদের যাদের পেটের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা হৃদরোগ কিংবা যার এসব রোগের প্রাথমিক লক্ষণ আছে। ঈদকে উপলক্ষ করে সবার বাসায় নানা ধরনের মুখরোচক খাবারের আয়োজন করা হয়। নিজের বাসায় তো বটেই, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের বাসায় ঘুরে ঘুরে প্রায় সারা দিনই টুকিটাকি, এটা-সেটা খাওয়া হয়। আমাদের একটু নজর দেয়া দরকার আমরা কি খাচ্ছি, কতটুকু খাচ্ছি, বিভিন্ন খাবারের প্রতিক্রিয়া কি তার ওপর। মূল সমস্যাটা নিঃসন্দেহে খাবারের পরিমাণে। অনেকেই একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণ তৈলাক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার খেয়ে হজম করতে পারেন না। এ ছাড়া কোরবানির জন্য গোশতের পরিমাণটা একটু বেশিই খাওয়া হয়। অধিক পরিমাণে গোশত খাওয়ার ফলে পেট ফাঁপে, জ্বালাপোড়া করে, ব্যথা করে, বার বার পায়খানা হয়। পর্যাপ্ত পানি পান না করার দরুন অনেকে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। 
 যদিও সাধারণভাবে কোন নির্দিষ্ট খাবার খেতে কোন মানা নেই, কিন্তু পরিমাণ বজায় রাখা খুবই জরুরী। এ ক্ষেত্রে শুরু থেকেই পরিকল্পনা থাকা দরকার। যেহেতু দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেই সবাই গোশত খাওয়ার জন্য বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েন, তাই সকাল আর দুপুরের খাওয়াটা খুব কম রাখাই ভাল। অন্য বাসায়ও যথাসম্ভব কম খান। ঈদের দিন তৈলাক্ত খাবার পোলাও, বিরিয়ানি ও আমিষজাতীয় খাবার, যেমন মুরগি, খাসি বা গরুর মাংস, কাবাব, রেজালা খাওয়া হয়। এ ছাড়া আছে চটপটি, দইবড়া কিংবা বুরহানির মতো টক খাবারও। এই জাতীয় খাদ্য সকাল আর দুপুরে পরিহার করাই উত্তম। কারণ বিকেলে প্রচুর পরিমাণে গোশত খাওয়ার সম্ভাবনা থাকবেই। 

করোনারি হৃদরোগ, বিশেষ করে প্রবীণ ব্যক্তি, যাদের ইসকেমিক হৃদরোগ আছে এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, তারা তৈলাক্ত মাংস কমিয়ে খাবেন। সারা বছর তাঁরা যে ধরনের নিয়মকানুন পালন করেন খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে-কোরবানির সময়ও এর ব্যতিক্রম না করাই ভালো। কোরবানির মাংস এক দিন বা দুই দিন খেলে যে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাবে তা নয়, তবে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে যাঁরা রয়েছেন, বিশেষ করে করোনারি হৃদরোগী, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস) রোগী, ডিসপেপসিয়ায় আক্রান্ত রোগী- তাঁরা অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ঈদের সময় তাঁদের খাওয়াদাওয়ার পরিকল্পনা করবেন। স্থূলকায় শরীর যাঁদের, তাঁরা অবশ্যই ঈদের সময় খাওয়ার ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক থাকবেন। নিয়মিত ওজন পরীক্ষা করবেন। খেয়াল রাখবেন, শরীরের স্বাভাবিক ওজন বেড়ে যাচ্ছে কি না।

কোরবানির পর স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গোশত সংরক্ষণ করুন। যত দ্রুত সম্ভব বাড়ি এবং এর আশপাশ পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত করে ফেলুন। রাস্তার ওপর এবং যত্রতত্র কোরবানি দিয়ে রক্ত ও আবর্জনা ফেলে রাখবেন না। নির্দিষ্ট স্থানে গর্ত করে আবর্জনা ও রক্ত ফেলা নিশ্চিত করুন। জীবাণুনাশক পাউডার, ডেটল ও গরম পানি ব্যবহার করুন।



মজাদার জিরা পানি ...


স্বাদে জিরা পানি......

আসসালামুয়ালাইকুম। শুরুতেই জানাই ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা । কাল ঈদ। তাই ঈদের খাওয়া দাওয়ায় স্বাদ বাড়াতে আর ক্লান্তি মেটাতে ঘরেই তৈরি করে নিন ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা জিরা পানি শরবত।


উপকরণঃ

১। পরিমাণ মতো তেঁতুল
২। ভেঁজে গুড়া করা জিরা
৩। গোল মরিচ গুড়া
৪। লবণ
৫। চিনি

তৈরি প্রনালীঃ 

জিরা পানি তৈরির জন্যে প্রথমে আপনাকে পরিমাণ মতো তেঁতুল (কয় গ্লাস বানাবেন তার উপর নির্ভর করবে) একটি বাটিতে নিয়ে বিশুদ্ধ পানি দিয়ে গুলিয়ে নিন। তেঁতুলের বিচি ছাড়িয়ে ছেঁকে নিন। তারপর পরিমাণ মতো পানি নিয়ে তাতে ছেঁকে নেয়া তেঁতুল আর চিনি মিশ্রিত করুন। যেহেতু জিরা পানি শরবত তাই জিরা ফ্লেবার দিতেই পরিমাণ মতো জিরা, গোল মরিচ  আর লবণ মিক্সড করুন। ব্যাস হয়ে গেল মজাদার জিরা পানি।


বরফ কুঁচি আর পদিনা দিয়ে পরিবেশন করুন এক গ্লাস ঠাণ্ডা স্বাদে ইয়্যাম্মি জিরা পানি।

সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ। ঈদ বয়ে আনুক খুশি আর অনাবিল আনন্দ। সবার সুস্থতা কামনা করে এখানেই  শেষ করছি।




মজাদার পুদিনা বোরহানি .......সহজে তৈরি করুন ঘরে বসে।

উপকরণ:

মিষ্টিদই ১ কেজি,

টক দই ১ কাপ
মালাই দেড় কাপ,
আমন্ড বাদাম (কাঠবাদাম) ৪ টেবিল-চামচ,
পোস্তদানা বাটা ১ টেবিল-চামচ,
সরিষা গুঁড়া ২ টেবিল-চামচ,
লবণ পরিমাণমতো,
বিট লবণ ১ টেবিল-চামচ,
পুদিনাপাতা বাটা ২ টেবিল-চামচ,
কাঁচামরিচ বাটা ২ চা-চামচ বা পরিমাণমতো,
সাদা গোলমরিচ গুঁড়া দেড় চা-চামচ,
জিরা (টালা গুঁড়া) দেড় চামচ,
ধনে (টালা গুঁড়া) দেড় চামচ,
পানি (দইয়ের ঘনত্ব বুঝে) আন্দাজমতো, (বোরহানি বেশি পাতলা হবে না, একদম ঘনও নয়)
তেঁতুলের মাড় (বোরহানির টক বুঝে) আন্দাজমতো।

প্রণালি:

  • -দুই কাপ পানির সঙ্গে সব মসলা মিশিয়ে ছেঁকে নিতে হবে।
  • -সব উপকরণ একসঙ্গে খুব ভালোভাবে ফেটিয়ে বা ব্লেন্ডারে মিশিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজন হলে আরও পানি দিতে হবে।
  • -ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করতে হবে।
লিখাটা আপনাদের কেমন লাগলো তা জানার অপেক্ষায় রইলাম,আপনাদের মতামত আমাদের কাম্য।ইমেইল করে বা কমেন্টস এ আপনাদের কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে আমাদের জানাতে পারেন। আমরা যতটুকু পারি আপনাদের সাহায্য করার চেষ্টা করব। ভালো থাকুন , সুস্থ থাকুন আর আমাদের সাথেই থাকুন।
   

Sunday, September 20, 2015

সহজে তৈরি করুন মজাদার গরু/খাসীর নেহারি |

নেহারি

খাসি বা গরুর পায়ার খুবই মজাদার একটি রেসিপি হল নেহারি সকালের নাস্তায় নেহারি অতুলনীয়। এটি পুরোনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলোর মধ্যে একটি। কিভাবে তৈরী করতে হবে এবং কি কি লাগবে নিচে তা তুলে দেওয়া হলো :


   
যা যা লাগবে
  • খাসি বা গরুর পায়া এক কেজি
  • বড় এলাচ গুঁড়া এক চা চামচ
  • পেয়াজ বেরেস্তা দেড় কাপ
  • শাহি জিরা আধা চা চামচ
  • শুকনা মরিচ তিন/চারটি
  • লবঙ্গ তিন/চারটি
  • সয়াবিন তেল দুই টেবিল চামচ
  • তেজপাতা দুই/তিনটি দারচিনি দুইটি
  • রসুন এক টেবিল চামচ
  • আদা মোটা কুচি দুই টেবিল চামচ
  • হাড়সহ মাংস এক কেজি
  • ছোট এলাচ গুঁড়া আধা চা চামচ
  • কাঁচা মরিচ দশ/বারটি
  • গোল মরিচ গুঁড়া দুই চা চামচ
  • সিরকা চার টেবিল চামচ
  • লবণ স্বাদমতো


যেভাবে তৈরী করতে হবে

  • লবণ সিরকা দিয়ে হাড় ও মাংস ভিজিয়ে রাখুন দুই ঘন্টা।
  • দুই ঘন্টা পর হাড় ও মাংস পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ঝরিয়ে নিন।

  • গরম তেলে হাড় ও মাংস লাল করে ভেজে রাখুন।
  • সেই তেলে ছোট বড় এলাচ,লবঙ্গ,গোলমরিচ,রসুন,আদা,শাহিজিরা,দারচিনি দিয়ে দুই মিনিট ভাজুন।
  • পেয়াজ বেরেস্তা, মাংস, শুকনা মরিচ দিয়ে ভাজুন আরো ২/৩ মিনিট।
  • এবার মাংস অনেক ডুবিয়ে পানি দিন। ঢেকে মৃদু আঁচে ৩/৪ ঘন্টা রান্না করুন।

  • দুই ঘন্টা পর লবণ ও কাঁচামরিচ দিন।
  • হাড় থেকে মাংস খুলে খুলে আসবে। ঝোল ঘন থাকবে কিন্তু অনেক ঝোল থাকবে- এ অবস্থায় নামিয়ে নিন।

  • এবার অল্প তেলে রসুন কুচি লাল করে ভেজে ঝোলের ভিতর দিয়ে দিন।


পরিবেশন করা
  • পরিবেশন করার আগে কাঁচা মরিচ কুচি,ধনে পাতা ও আদা কুচি দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন ঐতিহ্যবাহী ঢাকাই খাবার নেহারি।
লিখাটা আপনাদের কেমন লাগলো তা জানার অপেক্ষায় রইলাম,আপনাদের মতামত আমাদের কাম্য।ইমেইল করে বা কমেন্টস এ আপনাদের কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে আমাদের জানাতে পারেন। আমরা যতটুকু পারি আপনাদের সাহায্য করার চেষ্টা করব। ভালো থাকুন , সুস্থ থাকুন আর আমাদের সাথেই থাকুন।
   

"গরুর মাংসের পনির কাঠি কাবাব"

খাদ্যরসিকদের জন্য কাবাব একটি লোভনীয় নাম।কাবাব পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না। নানা রকম কাবাব তৈরি যায় তবে সব চেয়ে মজাদার কাবাবের নাম হল "গরুর মাংসে পনির কাঠি কাবাব"। চলুন জেনেনি এর প্রস্তুত প্রণালী এবং উপকরণ।                                                  

   
উপকরণ প্রনালিঃ                                                                                               
  • গরুর মাংসের থেঁতো করা টুকরো  ১/২ কেজি,
  • কাঁচা মরিচ কুচি- ২চা চামচ,
  • পেঁয়াজের কুচি- ১/২ কাপ,
  • আদা বাটা- ১ চা চামচ,
  • গরম মশলা বাটা- ১ চা চামচ,
  • কাবাব মশলা- ১ টেবিল চামচ,
  • লেবুর রস- ১ চা চামচ,
  • গোল মরিচ গুঁড়া- ১/২ চা চামচ,
  • তেল- ১ কাপ,
  • টমেটো ক্যাচাপ- ২ টেবিল চামচ,
  • বসেল লিফ- ১ চা চামচ,
  • লবন-  স্বাদমতো।
  • পনির 
যেভাবে তৈরি করবেনঃ 
প্রথমে পনির টুকরো টুকোর করে কেটে নিন।এবার পনির বেশ ভাল করে গরুর মাংসের থেঁতো করা টুকরো সঙ্গে মেখে নিন। এরপর অন্যান্য মশলা ও পনির মিশ্রিত কিমা একসাথে ভালোভাবে মেখে ১ ঘণ্টা ঢেকে রেখে দিন। এবার হাত দিয়ে মুঠি মুঠি করে কাবাব তৈরি করে কাঠির সাথে গেঁথে নিন। এবার কড়াইয়ে তেল দিন। চুলার আঁচে তেল গরম হয়ে এলে কাবাব ছেরে দিন এবং কাবাব লাল লাল করে ভেঁজে তুলুন। এরপর গরম গরম পরিবেশন করুন। আর উপভোগ করুন "গরুর মাংসের পনির কাঠি কাবাব"
লিখাটা আপনাদের কেমন লাগলো তা জানার অপেক্ষায় রইলাম,আপনাদের মতামত আমাদের কাম্য।ইমেইল করে বা কমেন্টস এ আপনাদের কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে আমাদের জানাতে পারেন। আমরা যতটুকু পারি আপনাদের সাহায্য করার চেষ্টা করব। ভালো থাকুন , সুস্থ থাকুন আর আমাদের সাথেই থাকুন।
   

Saturday, September 19, 2015

"টম্যাটো বিফ"..................বিস্তারিত পড়ুন।

ঈদ মানেই অপার আনন্দ আর নিরবিচ্ছিন্ন উৎসব।ঈদে যেমন উৎসবের কমতি নেই তেমনি এই ঈদে কমতি নেই গরুর মাংসের। তাই এসময় হাতের কাছে পছন্দের রেসিপি থাকলে সহজেই তৈরি করে ফেলা যায় দারুণ সব স্বাদের খাবার।আর এইজন্যেই আপনাদের জন্য নিয়ে এলো মজার গরুর মাংসের রেসেপি।

টম্যাটো বিফ
উপকরণ:
গরুর গোশ আঁধা কেজি, রসুন ও পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ করে,আদা বাটা ও মরিচ গুড়ো ১ টেবিল চামচ, এলাচ, দারুচিনি ও তেজপাতা গুড়ো ১ টেবিল চামাচ এবং পরিমাণমতো লবণ, টম্যাটো সস ২ চা চামচ, সয়া সস ১ চা চামচ।

যেভাবে তৈরি করতে হবে:
প্রথমে গোশ ভালকরে ধুয়ে পেঁয়াজ, রসুন, আদা,মরিচ ও তেল মিশিয়ে চুলোয় বসাতে হবে। গোশ সেদ্ধ হয়ে এলে রসুন আর দারুচিনির গুড়া, টম্যাটো সস, সয়া সস, দিয়ে হালকা 
আঁচে রাখতে হবে। তেল উপরে উঠলেই নামিয়ে নিতে হবে। এবার একটি পাত্রে গরম গরম টম্যাটো বিফ রাখুন এবং তার ওপর টম্যাটো সস ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন "টম্যাটো বিফ"।


লিখাটা আপনাদের কেমন লাগলো তা জানার অপেক্ষায় রইলাম,আপনাদের মতামত আমাদের কাম্য।ইমেইল করে বা কমেন্টস এ আপনাদের কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে আমাদের জানাতে পারেন। আমরা যতটুকু পারি আপনাদের সাহায্য করার চেষ্টা করব। ভালো থাকুন , সুস্থ থাকুন আর আমাদের সাথেই থাকুন।
  

"চিলি বিফ"

চিলি বিফ খেতে চান চিন্তা নেই, এই ঈদে সবাই ঘরে বসে তৈরি করে খেতে পারেন মজাদার চিলি বিফ। এটি তৈরি করা খুব সহজ এবং কম সময় লাগে। এটি বিকালের নাস্তা হিসাবে খেতে পারেন তবে রুটি অথবা পোলাও এবং ভাতের সাথে খেতে পারেন। আশা করি এই রেসেপিটি আপনাদের কাছে ভাল লাগবে। রেসেপিটি তৈরি করতে কি কি লাগবে তা জেনে নিন।




উপকরণ প্রনালিঃ সেদ্ধ করা হাড়বিহীন ছোট ছোট মাংসের টুকরো ৫০০ গ্রাম, ভিনিগার আধাকাপ, এরারুট আধা টেবিল চামচ, সয়া সস ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণ মতো, পেঁয়াজের রস আধা কাপ, আধা রসুন বাটা ২ চা চামচ, কুচানো পেঁয়াজ ১ কাপ, কুচানো কাঁচা মরিচ আধা কাপ, বাদাম তেল পরিমাণ মতো, আজিনোমোটো আধা চা চামচ।

(দ্রষ্টব্যঃ সয়া সস নোনতা সেইজন্য লবণ কম করে দেবেন।)

প্রস্তুত প্রনালিঃ এরারুট, ভিনিগার গুলে রাখতে হবে। এই গোলার মধ্যে সয়া সস, পেঁয়াজের রস, আদা- রসুন বাটা, ও লবণ মেশাতে হবে।
মাংসের টুকরো তেলে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। এই তেলে পেঁয়াজ আধা ভাজা করতে হবে। এই তেলে কাঁচা মরিচ ভেজে নিতে হবে।
মরিচ ভাজার গন্ধ বেরোলে মাংসের টুকরো ও এরারুট গোলা মেলাতে হবে। সমস্তটা ফুটে উঠলে নামিয়ে নিয়ে সয়া সস মেশাতে হবে। এবার সুন্দর একটি পাত্রে নিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম "চিলি বিফ"।


 লিখাটা আপনাদের কেমন লাগলো তা জানার অপেক্ষায় রইলাম,আপনাদের মতামত আমাদের কাম্য।ইমেইল করে বা কমেন্টস এ আপনাদের কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে আমাদের জানাতে পারেন। আমরা যতটুকু পারি আপনাদের সাহায্য করার চেষ্টা করব। ভালো থাকুন , সুস্থ থাকুন আর আমাদের সাথেই থাকুন।

  

Friday, September 18, 2015

মেজবানি গোস্ত

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালই আছেন। কয়দিন বাদেই পবিত্র ঈদুল আযহা বা কোরবানীর ঈদ। আর কোরবানীর ঈদ মানেই গরুর গোস্তের নানান পদের সব রেসিপি। তাই চিন্তা করে করে আপনাদের জন্য এই রেসিপিটি লিখলাম। কেমন হল জানাবেন। 

মেজবানি গোস্ত 

উপকরণঃ 

গরুর মাংস ২ কেজি (ছোট টুকরা করে ভালো করে ধুয়ে পানি ঝড়িয়ে নেয়া)
২ কাপ পেঁয়াজ কুচি করা। ও ১ কাপ পেঁয়াজ বাটা।
তেল ১/২ কাপ (সয়াবিন + সরিষার)
আড়াই টে চামচ আদা বাটা
দেড় টে চামচ রসুন বাটা
১ চা চামচ করে শাহি জিরা ও ধনিয়া গুঁড়া।
১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়া
ঝাল বিহীন স্পেশাল শুকনা মরিচ গুঁড়া ৩-৪ টে চামচ বা পরিমান মতো (আমি এখানে কাশ্মিরি শুকনা মরিচ গুঁড়া ব্যবহার করেছি। এটায় ঝাল কম হয়ই বাট কালার টা অনেক সুন্দর হয়। চট্টগ্রামে ব্যবহার করা হয় মিষ্টি মরিচ গুঁড়া। )
৮-১০ টা কাঁচা মরিচ (বা নিজের পরিমাণ মতো)
১ টে চামচ চিনি
৩/৪ টা তেজ পাতা।
৪/৫ টা ভাজা আলু (ইচ্ছা। আপনি খেতে চাইলে দিতে পারেন)

মেজবানি মাংস স্পেশাল মশলা

২-৩ টা এলাচ, ২ টুকরা দারচিনি (১” সাইজ), ৪-৫ টা লবঙ্গ, ১/৮ পরিমাণ জায়ফল, ১/২ চা চামচ জয়ত্রি, গোলমরিচ ৫-৬ টা, ১/২ চা চামচ পোস্তদানা সব একসাথে পানি দিয়ে বেটে পেস্ট করে নিতে হবে।

প্রনালি

  • -পেঁয়াজ কুচি, চিনি ও তেজপাতা ছাড়া বাকি সব উপকরণ মাংসের সাথে মাখিয়ে ১ ঘণ্টা রাখতে হবে
  • -একটা পাত্রে তেল দিয়ে পেঁয়াজ ও তেজ পাতা দিয়ে হালকা লাল হওয়া পর্যন্ত ভাজতে হবে।
  • -ভাজা হয়ে গেলে এবার মাখান মাংস দিয়ে কিছুক্ষণ কষাতে হবে। ৪-৫ মিনিট।
  • -এবার বেশি করে পানি দিয়ে ঢেকে দিন। অল্প আঁচে রান্না করতে হবে। ১ ঘণ্টার মতো।
  • -রান্না করার সময়ই ঢাকনা টা ভালো করে সিল করে নিতে হবে।
  • -হয়ে গেলে নামানর আগে ভাজা আলু দিয়ে দিন।
পোষ্ট ভাল লাগলে কমেন্টেসে জানান। 

Wednesday, September 16, 2015

নাম নিয়ে ভাবনা আর না আর না

হেলো ভাই বোন বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালই আছেন। আজকে আমি লিখতে যাচ্ছি বাচ্চা দের নাম নিয়ে। হা একটা সময় ছিল পরিবারে কোন নতুন শিশু জন্ম নিলে হয় শুনে শুনে অথবা পাড়ার মসজিদের ইমামকে ডেকে ঐ বাবুর নাম রাখা হত। তখন নাম গুলিও ছিল অনেক বেশি কমন। রহিম, করিম, আকবার, জব্বার, জামাল, কামাল ইত্যাদি ইত্যাদি। দেখা গেছে একই এলাকায় কামালের সংখ্যা ১০ জন হয়ে গেছে। বর্তমানে এই পরিস্থিত কিন্তু আর নাই। এখন আধুনিক যুগ। সবাই চিন্তা করে আমার সন্তানের নাম আলাদা হবে এবং অর্থবহ হবে। আর এই কথা মাথায় রেখে দিয়ে দিলাম কত গুলি অয়েব সাইটের ঠিকানা। যেখান থেকে আপনি পেয়ে যাবেন আপনার পছন্দের নাম একদম অর্থ সহ। 


১। http://www.babble.com/baby-names
২। http://www.babycenter.com/popularBabyNames.htm?year=2015
৩। http://www.babycenter.com/baby-names
৪। http://babynames.net/girl
৫। http://www.harpersbazaar.com/culture/features/g4984/unique-baby-names/

এই ওয়েবসাইট গুলি ভিজিট করে দেখে নিতে পারেন। ধন্যবাদ। পোষ্টটি ভাল লাগলে কমেন্টসে জানান। 


Tuesday, September 15, 2015

হাতের এবং পায়ের নখ বড় রাখলে যেসব রোগ হতে পারে ও কিভাবে এই রোগ থেকে মুক্তি পাবেন তা জেনে নিন..................বিস্তারিত পড়ুন।

নখ ত্বকেরই অংশ, নখ প্রেস্টিন দিয়ে তৈরি। নখ প্রতিদিন তৈরি হয়। প্রতি মাসে ১/৮ ইঞ্চি নখ বড় হয়। পায়ের নখ হাতের নখের তুলনায় ধীরে বড় হয়। নখ সুন্দর রাখার জন্য নখের সঠিক যত্নও প্রয়োজন।
নখের নানারকম অসুখ হতে পারে। নানা অসুখে নখের পরিবর্তন আসতে পারে। শারীরিক নানা রকম অসুখ যেমন ফুসফুস বা হার্টের অসুখ, রক্তস্বল্পতা ইত্যাদি নানা কারণে নখের পরিবর্তন হয়।
নখের সাদা দাগঃ
কোনো রকম 
ফাঙ্গাসের আক্রমণে নখে সাদা দাগ হতে পারে। এ ছাড়া নখের পাশের ত্বকে কোনো আক্রমণের কারণে নখে সাদা দাগ হতে পারে। মাস খানেকের মাঝে সাদা দাগ আপনা আপনি চলে না গেলে ত্বক বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।

নখের ভেফু যাওয়াঃ
শারীরিক অসুখ এবং অনেক বাহ্যিক কারণে নখ ভেঙে যেতে পারে। খুব বেশি সাবান ব্যবহার, নেল পলিশ ব্যবহার ইত্যাদি কারণে নখ ভাঙতে পারে।
ভেঙে যাওয়া নখের যত্নঃ

অতিরিক্ত সাবান, নেলপলিশ, ব্যবহার করবেন না।

সাবান ব্যবহারের করে কোল্ড ক্রিম ব্যবহার করবেন।
ল্যাকটিক এসিড ও ইউরিয়াযুক্ত ক্রিম প্রতি রাতে ব্যবহার করবেন।
১৫ দিন অন্তর হালকা গরম অলিভ তেলে ১৫ মিনিট আঙুল ডুবিয়ে রাখুন। এ ছাড়া প্রতি রাতে হাতের নখে ও আঙুলে অলিভ তেল মালিশ করম্নন।
নেল পলিশ এবং রিমুভার ব্যবহারের পরে আঙুল ও নখে অলিভ তেল লাগাবেন।
প্রচুর প্রোটিনযুক্ত খাবার খাবেন, প্রতিদিন দুধ বা দই খাবেন।
ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খাবেন।


পায়ের নখ ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়াঃ

এটা খুব সাধারণ সমস্যা। নখ বড় হওয়ার সময় ভেতরের দিকে ঢুকে গেলে এমন হয়। এতে করে ওই জায়গা ফুলে যায়। লাল হয়ে মরেও প্রচণ্ড ব্যথা হয়। ইনফেকশনের কারণে এমন হয়। প্রতিকার ও প্রতিরোধঃ নখ কাটার সময় লক্ষ্য করে দু্‌ই পাশের নখ কাটবেন।
যথাযথ জুতা পরবেন।
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ক্রিম বা অয়েন্টমেন্ট নখের কোণে লাগাবেন।
নখের কোণ যদি ব্যথা করে বা ফুলে যায় তবে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।

চিনাবাদামের সস দিয়ে গরুর মাংস......... বিস্তারিত পড়ুন।



যেসব উপকরণ প্রয়োজনঃ

 ১। গরুর মাংস ৫০০         গ্রাম
 ২। টুকরো করে কাটা         পেঁয়াজ ১টি 
 ৩। থেঁতো করা আদা ১       চা-চামচ
 ৪। পানি ২ কাপ 
 ৫। লবণ ও গোলমরিচ        আন্দাজমতো 
 ৬। কুচানো লেটুস পাতা ১ কাপ 
 ৭। চিনি ১- চা চামচ  তবে প্রথমে চিনাবাদামের সস তৈরি করে নিন। এর উপকরণ ও নিয়মাবলি নিচে দেয়া হলো।

চিনাবাদামের সসের উপকরণ ও রান্নার ধারাবাহিক পদ্ধতিঃ
মাখন ১ টেবিল চামচ, ১ টেবিল চামচ মিহি করে গুড়ো করা চিনাবাদাম ও ২ টেবিল চামচ বাদাম তেল একসাথে মিশিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন। এতে ২ টেবিল চামচ সয়া সস ও আন্দাজ মতো চিনি মেশান ও এক চা- চামচ পেষা মরিচ মেশান। এবারে একটি ফ্রাই প্যানে ১ চা- চামচ বাদাম তেল গরম করুন।


এক টেবিল চামচ মিহি করে কুচানো পেঁয়াজ ও এক টেবিল চা- চামচ কুচানো ধনেপাতা দিয়ে দু মিনিট ধরে নাড়ুন। তৈরি করা চিনাবাদামের সস ও সিকি কাপ পানি দিয়ে তিন মিনিট ধরে ফুটিয়ে নিন। ঘন হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।
গরুর মাংস তৈরির পদ্ধতিঃ গরুর মাংস, পেঁয়াজ, আদা, লবণ, গোলমরিচ, ও চিনি এবং ২ কাপ পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ করার পর হাড় ছাড়িয়ে মাংসের টুকরোগুলো আলাদা করে কেটে নিন। 
প্রস্তুত প্রনালিঃ চুলায় ফ্রাই প্যান দিয়ে তাতে ১ চা- চামচ বাদাম তেল গরম করে তাতে তৈরি করা গরুর মাংস, চিনাবাদামের সস, এবং অল্প পানি দিয়ে ভালভাবে নাড়ুন ও ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে রাখুন। এরপর একটি থালায় কুচানো লেটুস পাতা রেখে তার ওপরে গরুর মাংসের টুকরোগুলো রাখুন, চিনাবাদামের সস ওপর থেকে ফোঁটা ফোঁটা করে ছড়িয়ে দিন ও পরিবেশন করুন মজাদার এবং সুস্বাদু চিনাবাদামের সস দিয়ে গরুর মাংস। 


ইয়াম্মি ইয়াম্মি ফ্রুট কাস্টারড

ফ্রুট কাস্টার্ড 


উপকরণ–১

তরল দুধ ২ কেজি
কাস্টার্ড পাউডার ৪ টেবিল চামচ
ভ্যানিলা এসেন্স দেড় চা চামচ
লবণ আধা চা চামচ
চিনি পছন্দ মত




প্রস্তুত প্রণালীঃ
সবুজ+লাল আপেল কিউব কাট ২ কাপ
২কেজি দুধ জ্বাল দিয়ে দেড় কেজি পরিমাণে আনতে হবে

দুধে সর পড়তে দেওয়া যাবে না
লবণ, চিনি,ভ্যানিলা এসেন্স দিতে হবে
এরপর কাস্টার্ড পাউডার দেড় টেবিল চামচ পানিতে গুলে দুধে ছাড়তে হবে
এসময় দুধ নাড়া দিতে হবে নাহয় পাউডার জমাট বেধে যাবে!
দুধ ঘন হয়ে আসলে আরো কিছুক্ষন নেড়ে নামিয়ে ঠান্ডা করতে হবে।

উপকরণ–২

(চিনি পানিতে ভিজানো,নাহয় আপেল কালো হয়ে যাবে)
সবুজ+কালো আংগুর ২/৩ টুকরা করে কাটা ১ কাপ
কলা কিউব কাট ১ কাপ
পাঁকা আম কিউব কাট ১ কাপ
আনার ১ টি
প্লেইনকেকের পাতলা স্লাইস পরিমাণ মত,সাজানোর জন্য চেরি কুচি, পেস্তা, আমন্ড, রংগিন মোরব্বা কুচি, আস্ত স্ট্রবেরি।




প্রস্তুত প্রণালীঃ
সার্ভিং ডিশে কেকের স্লাইস বিছাবে। এর উপর অল্প একটু দুধ ঢালবে। আপেল+কলা দিবে, আবার দুধ ঢালবে। আংগুর, চেরি, আম, আনার দিয়ে আবার দুধ ঢালবে। এর উপর চেরি কুচি, আনার, পেস্তা বাদাম, কালো বা লাল+ সবুজ আংগুরের গোল বা চৌকো টুকরা, রংগিন মোরব্বা(যদি থাকে) দিয়ে সাজাতে হবে।
ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করতে হবে। ইচ্ছা হলে পরিবেশনের সময় ভ্যানিলা বা অন্য যেকোন ফ্লেভারের আইস্ক্রিমের স্কুপ কাস্টার্ডের উপরে দিয়ে নিতে পারেন।





লিখাটা আপনাদের কেমন লাগলো তা জানার অপেক্ষায় রইলাম,আপনাদের মতামত আমাদের কাম্য।ইমেইল করে বা কমেন্টস এ আপনাদের কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে আমাদের জানাতে পারেন। আমরা যতটুকু পারি আপনাদের সাহায্য করার চেষ্টা করব। ভালো থাকুন , সুস্থ থাকুন আর আমাদের সাথেই থাকুন।



Monday, September 14, 2015

কেন ইউএসবি ৩ পেনড্রাইভ ব্যবহার করবেন......

হেলো............... সব্বাই কেমন আছেন। আশা করছি ভালই আছেন। ইউএসবি ডিভাইসের সাথে আমরা মোটামুটি অনেকেই বেশ পরিচিত। আমরা প্রতিদিন ইউএসবি ডিভাইস ব্যবহার করছি নানা কারণে। পেনড্রাইভ, প্রিন্ট্রার কেবল, ডাটা কেবল, মোডেম, ইত্যাদি ইত্যাদি বহু ডিভাইস ইউএসবি পোর্ট ব্যবহার করে কমিউনিকেশন করে। এর মধ্যে আমাদের সবার পকেটে পকেটে এখন পেনড্রাইভ পাওয়া যায়। পেনড্রাইভের মধ্যে দুই ধরনের পেনড্রাইভ আছে কিন্তু। USB 2.0 এবং USB 3.0। মূলত কপি  স্পিড এর কারণেই ইউএসবি ৩ এর আবিষ্কার। যা হোক কেন আমরা ইউএসবি ৩ ব্যবহার করবো বা কেন আমরা ইউএসবি পেনড্রাইভ কিনবো সেটা জেনে নেই নিচের পার্থক্য থেকে। 
ইউএসবি ৩.০ (USB)  হল ২০০৮ সালে আবিস্কৃত ইউনিভার্সাল সিরিয়াল বাসের সর্বশেষ সংস্করণ। প্রযুক্তির বাস্তবায়নে ইউএসবি ৩.০ (USB) অ্যাডাপ্টারের (PCIe এবং এক্সপ্রেস কার্ড) প্রথম ব্যবহার ২০০৯ সালে শুরু হয়, তবে বর্তমানে সকল কম্পিউটার সিস্টেমের মধ্যে নতুন ৩.০ পোর্ট ইনস্টলেশন করা থাকে। ২০১০ সাল থেকে কম্পিউটার এবং ল্যাপটপে ধীরে ধীরে এর ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। ইউএসবি ৩.০ পোর্ট এখন এতটাই গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছে যে নির্মাতারা ২০১২সাল থেকে সকল কম্পিউটারেই এ ডিভাইসে সংযুক্তি নিশ্চিত করেছেন।
USB-3-1
বর্তমানে অনেক ধরনের এক্সটারনাল হার্ড ড্রাইভ, হার্ড ড্রাইভ ডকস এবং ফ্ল্যাশ ড্রাইভ এ ইউএসবি ৩.০ (USB) ডিভাইস বিল্ট-ইন থাকে। ২০১১ সাল থেকে মেমরি কার্ড রিডার, ডিসপ্লে অ্যাডাপ্টার এবং অন্যান্য অনেক ডিভাইসেও ৩.০ পোর্ট সংযুক্ত করা হয়, ২০১২ সাল থেকে ইউএসবি ৩.০ এর ক্যাবলের মাধ্যমে ডাটা ট্রন্সফার শুরু হয়।
ইউএসবি ২.০ এবং ৩.০ এর প্রধান পার্থক্য নিম্নে দেওয়া হলঃ
Bus এর প্রকারভেদ
সর্বোচ্চ ট্রান্সফার রেট
ইউএসবি ৩.০ এর ট্রান্সফার ডাটা স্পিড
ইউএসবি ২.০ এর ডাটাট্রান্সফার স্পিড
PCIe 1.0a
2.5 Gbps
2.5 Gbps
480 Mbps
PCIe 2.0/2.1
5 Gbps
4.8 Gbps
480 Mbps
PCIe 3.0
8 Gbps
4.8 Gbps
480 Mbps
ExpressCard 1.0
2.5 Gbps
2.5 Gbps
480 Mbps
ExpressCard 2.0
5 Gbps
4.8 Gbps
480 Mbps
দ্বিতীয় মূল পার্থক্য হল অন্যান্য physical বাসে- অর্থাৎ ক্যাবেলের ভেতরে তারের পরিমাণ দ্বিগুন (৪থেকে৮) করা হয়েছে। ইউএসবি ৩.০ ক্যাবলে অতিরিক্ত তারের পরিমান এবং কানেকটরের গঠনের মধ্যে পরিবর্তন হয়, তাই নতুন কানেকটরে বি মেইল ও মাইক্রো বি মেইল সংযোজন করা হয়েছে। এই কানেকটর গুলোর সংযোগস্থলই এসবি ২.০ এর তুলনায় বড় বলে (নিচেরছবিটিদেখুন), ইএসবি ২.০ এর সাথে ইউএসবি ৩.০ এর সরাসরি সংযোগ করা যাবে না।
USB-3-2
ইউএসবি ২.০ এবং ৩.০ এর ক্যাবলের মধ্যে পার্থক্য কি কি?
ইউএসবি ৩.০ এর কার্যক্ষমতা এবং পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইউএসবি ২.০ এর দ্বিগুন। ইউএসবি ৩.০ (USB) দিয়ে সর্ব্বোচ্চ ৪.৮ জিবিপিএস পর্যন্ত দ্রুত ডাটা ট্রন্সফারের জন্য  ইউএসবি ৩.০এর ক্যাবলে তারের পরিমান বৃদ্ধি করা হয় ৪টি থেকে ৮টি অর্থাৎ ইউএসবি ২.০এর ক্যাবলের চেয়ে তারের পরিমান দ্বিগুন এবং এতে 900 mA পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট সংযুক্ত করা হয়েছে। যেদিকে ইউএসবি ২.০ ক্যাবলের ডাটা ট্রান্সফার রেট সর্ব্বোচ্চ ৪৮০এমবিপিএস এবং পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট 500 mA .
USB-3-3
আপনি একটি ডিভাইসের মধ্যে সর্বোচ্চ আউটপুট পেতে হলে যা যা প্রয়োজন….

১. কম্পিউটার বা ল্যাপটপ একটি ইউএসবি ৩.০ পোর্ট থাকতে হবে। (builtin ইউএসবি ৩.০ পোর্ট বা অ্যাডাপ্টার PCIe ২.০/২.১ বা ইসি ২.০স্লট মধ্যে ইনস্টল করতে হয় ৩.০ পোর্ট দিয়ে)।
২. পরিপূর্ণ সুবিধার জন্য ইউএসবি ৩.০ ডিভাইস এর সাথে অবশ্যই ইউএসবি ৩.০ ক্যাবল ব্যবহার করতে হবে।
৩. যদি ইউএসবি ২.০ ডিভাইসের সাথে ইউএসবি ৩.০ ক্যাবল ব্যবহার করা হয় তবে ডাটা ট্রান্সফার রেট ইউএসবি ২.০ এর গতিতেই হবে। আবার ইউএসবি ৩.০ ডিভাইসের সাথে ইউএসবি ২.০ ক্যাবল ব্যবহার করা হলেও ডাটা ট্রান্সফার রেট ইউএসবি ২.০ এর গতিতেই হবে।
৪. সাধারণত ৩.০ ডিভাইসের সাথে অন্য ইউএসবি ৩.০ ডিভাইস সংযোগ করতে হবে ইউএসবি ৩.০ কেবল দিয়ে।
৫. একটি হার্ড ড্রাইভ, কার্ড রিডার, অথবা একটি ক্যামেরা ইউএসবি ৩.০ সাপোর্ট করে এমন ডিভাইস।