#blog-pager{clear:both;margin:30px auto;text-align:center; padding: 7px; } .blog-pager {background: none;} .displaypageNum a,.showpage a,.pagecurrent{font-size: 13px;padding: 5px 12px;margin-right:5px; color: #AD0B00; background-color:#FAB001;} .displaypageNum a:hover,.showpage a:hover, .pagecurrent{background:#DB4920;text-decoration:none;color: #fff;} #blog-pager .pagecurrent{font-weight:bold;color: #fff;background:#DB4920;} .showpageOf{display:none!important} #blog-pager .pages{border:none;}

Sunday, May 8, 2016

আড্ডায় কেন স্মার্ট ফোন নিষিদ্ধ করা হবে না ?


স্মার্ট ফোন ! 


আবাল বৃদ্ধা বনিতা শিশু কিশোর মধ্য বয়স্ক এমন কে আছেন আজকালের জামানায় স্মার্ট ফোন চিনেন না ??? সব্বাই চিনেন। দিনকে দিন এর প্রভাব বাড়ছে তো বাড়ছেই। ব্যবহার বাড়ছে, সহজ লভ্যতা পাচ্ছে। কিন্তু হিসেব করে দেখি এর ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে মানুষ মানুষের থেকে ক্রমে দূরে সরে যাচ্ছে। পারিবারিক বন্ধন নষ্ট, বন্ধুদের মধ্যে বন্ধন নষ্ট, স্বামী স্ত্রীর বন্ধন নষ্ট হচ্ছে তো হচ্ছে। 
কিভাবে হচ্ছে এত্তো সব ???? 



একজন একজনকে জড়ায় ধরেছে ঠিক কিন্তু এর মধ্যে যে অনুভুতি তা কি আর মনের মধ্যে সিমাবদ্ধ আছে ??? টোটালি চলে গেছে মোবাইলে, তাই নয় কি ????


আর এই হল বন্ধুদের আড্ডার অবস্থা। যেখানে আগে সবাই সাক্ষাত করলে নিজ নিজ মনের ভাব প্রকাশ করে হেসে কেদে একাকার হবার জো থাকতো না। কিন্তু এখন কি হচ্ছে কি ??? সবাই মোবাইলে যদি ব্যস্থ হয় তাহলে সবার মধ্যকার সম্পর্ক আর কতদিন থাকবে ????

এবার আসল কথায় আসি। স্মার্ট ফোন কিন্তু খারাপ কিছু না। এর অনেক এডভান্স ফিচার রয়েছে যা আমাদের দৈনন্দিন জিবনের জন্য অত্যান্ত উপকারী এবং আমাদের জীবন যাত্রা সহজ করার জন্য এর ভুমিকা মারাত্নক রকমের গুরুত্ত বহন করছে। তবে এর ব্যবহার একটা নির্ধারিত স্থান, পরিবেশ বজায় রেখেই করা উচিত। পরিবার আমাদের জন্য প্রধান বন্ধনের ক্ষেত্র। আমাদের জীবনের শুরুই কিন্তু পরিবার থেকে। অথচ এক খাবার টেবিলে বসে আমরা এক জন আরেকজনের খবর জানি না। সবাই নিজ নিজ মোবাইলে ব্যাস্ত। একই রকম ভাবে বন্ধুদের আড্ডায় গেলেও সেইম অবস্থা। সবাই নিজের নিজের মোবাইল নিয়ে ব্যাস্ত। হয়তো বিশেষ কথা বলা যায় ফোন আসলে। কিন্তু বন্ধুদের আড্ডায় স্মার্ট ফোনের ব্যবহার সীমিত করা কি উচিত নয় ???? আমি আমার পরিবারের সবাইকে দিয়েই শুরু করতে চাই। স্মার্ট ফোন ব্যবহার করা যাবে। তবে তা এক সাথে খাবার খাবার সময় বা পারিবারিক আলোচনা করার সময় নয়। ঐ সময় স্মার্ট ফোন ব্যবহার বন্ধ। তেমনি বন্ধুদের মধ্যেও এই অবস্থাটা তৈরি করা যাবে যদি বন্ধুরা ব্যপারটাকে পাত্তা দেয়। আসলে অন্য মানুষকে পরিবর্তন করা যায় না। তবুও বোঝানো যায়। অবশ্য পারিবারিক পর্যায়ে যে রকমের জোড় খাটানো যায় বন্ধুদের মধ্যে সেই রকমের জোড় খাটানো যায় না। তাই কষ্ট সাধ্য কাজ হবে। তবে এমন একটা পরিবেশ তৈরি করতে পারলে আসলে যা হবে তা হল মানুষ মানুসে বন্ধন বাড়বে। সবার সাথে সবার সম্পর্ক বিদ্যমান থাকবে। এর বাইরে যে গতিতে দুনিয়া চলছে তাইলে পৃথিবীতে মানুষ নামক প্রানীর অস্তিত্ব বিলিন হতে বেশি দেরি হবে না। 

No comments:

Post a Comment